কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অভিযোগ করেন, তাদের ছয় সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে জোর করে বিবৃতি আদায় করেছে। হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ নয় দফা দাবিতে আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এসব দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, আমাদের সহকর্মীদের রাতের আঁধারে মেস থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। যৌক্তিক আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হতাহত করা হয়েছে। অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে। আমাদের পাঁচ সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ডিবি জোর করে বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছে। আমরা আমাদের সহকর্মীদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
বিক্ষোভে যোগ দেওয়া এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ডিবি অফিস থেকে আসা যেকোনো ধরনের বিবৃতি শিক্ষার্থী সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নয় দফা দাবি আদায় না হবে। মহানগর গোয়েন্দা অফিস থেকে দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে র্যাব-বিজিবি, পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছে। দিনের বেলায় নাটক করে রাতের বেলায় মেসে মেসে তল্লাশি করে শিক্ষার্থীদের আটক করছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রদের হেনস্তা করছে, মোবাইল ফোন চেক করছে, এই ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? কেন তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে?
এসময় অনতিবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারসহ বিজিপি-সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত নয় দফা পূরণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।