3
ঢাকা এই বছর গৃহীত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ঐকমত্য প্রস্তাব অনুসারে 2025 সালে জাতিসংঘ কর্তৃক আহ্বান করা রোহিঙ্গা সংকটের উপর আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের রূপরেখা ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেছে।
সোমবার নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সভাপতি অ্যাম্বাসেডর ফিলেমন ইয়াং-এর মধ্যে বৈঠকে এ আলোচনা হয়েছে। আজ এখানে
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্যোগের প্রস্তাব করেছিলেন।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানকে উৎসাহিত করা।
ড. রহমান সম্মেলনের আয়োজনে জাতিসংঘকে পূর্ণ সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি রাষ্ট্রদূত ইয়াংকে ইভেন্ট এবং এর সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি ইউএনজিএ সভাপতিকে এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত করেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যার টেকসই প্রত্যাবাসন অর্জনে সকল স্টেকহোল্ডারদের জড়িত করার জন্য বাংলাদেশের সক্রিয় প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
আলোচনায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জরুরিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
উপরন্তু, উভয় পক্ষই রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে, বিশেষ করে এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক উন্নয়নের আলোকে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াং জাতিসংঘের কাঠামোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আহ্বায়ক হিসেবে, তিনি সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সর্বাধিক অংশগ্রহণ এবং একটি বাস্তবসম্মত ফলাফল নিশ্চিত করতে তার পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি ড. রহমানকে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সম্মেলন আয়োজনে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার জন্য তার ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ উভয়ের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।