ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা করা হয়েছে। হামাসপ্রধানের নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়াহ এবং তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস। -খবর আনাদোলুর।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি জঘন্য ঘটনা। তুরস্ক এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানায়।
আরও বলা হয়েছে, হামাসপ্রধানের হত্যাকাণ্ড আবারও প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের শান্তি অর্জনের কোনো ইচ্ছা নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলকে থামাতে পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘাতের মুখোমুখি হবে।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়াহ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন।
এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। ওই নির্বাচনে সাংগঠনিক পারদর্শিতায় কর্মীদের মন জয় করেন তিনি। এর ফলশ্রুতিতে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জনপ্রিয়তায় তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে হানিয়া গাজা ত্যাগ করে কাতারে বসবাস শুরু করেন। গাজায় অবস্থান করা প্রধান নেতার দায়িত্ব চলে যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হাতে।