রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দখলে থাকলেও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা। বিশেষ করে মিরপুর গালর্স আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। এই সংবাদ গোলচত্বর প্রাঙ্গণে পৌঁছালে আশেপাশের অলিগলিতে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিতে শুরু করেন আওয়ামলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই অত্র এলাকার দখল নিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, ভাষানটেক থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১০ নম্বর গোলচত্বরে জড়ো হতে থাকেন। এসময় অসংখ্য নেতাকর্মীর মাথায় হেলমেট এবং হাতে লাঠিসোটা বহন করতে দেখা যায়। সকল ১১টায় গোলচত্বরে পুড়িয়ে দেওয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স প্রাঙ্গণে সমাবেশ শুরু করে। এতে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মাইনুল হোসেন নিখিল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার সহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মিরপুর এলাকায় কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
সমাবেশে ইলিয়াস মোল্লা বলেন, বিএনপি আন্দোলনকারীদের মদদ দিয়ে আজকের এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ভেবে আমরাও নমনীয় ছিলাম। কিন্তু আর না, তৃতীয় পক্ষকে এদের ওপর ভর করতে দেওয়া যাবে না।
নিখিল বলেন, আন্দোলনকারীদের সকল দাবি পূরণ হয়েছে। এরপরেও কিছু থাকলে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বসতে চেয়েছেন। এরপর আন্দোলনের কিছু থাকে না।
তবে দুপুর ১২ টার দিকে আশেপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের খবর আসতে থাকে সমাবেশ স্থলে। এই খবরে নেতাকর্মীদের একটি অংশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিতে শুরু করে। মিরপুর ১৩ এবং ১৪ নম্বরে আন্দোলনকারীদের অবস্থান আছে জানতে পেরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যত হন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এতে আইডিয়াল কলেজের পাশের সড়কে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় আধা ঘণ্টা যাবৎ চলমান এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬টি বিকট শব্দের পাওয়া যায়। তবে এটি কিসের শব্দ, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ এখনও চলমান।